টাইব্রেকে ব্যর্থ এমবাপ্পে, কোয়ার্টার ফাইনালে সুইচরা 


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক:
টাইব্রেকে ব্যর্থ এমবাপ্পে, কোয়ার্টার ফাইনালে সুইচরা 
  • Font increase
  • Font Decrease

এই ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম টাইব্রেক ছিল ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের ম্যাচটি। ৩-৩ স্কোরে ৯০ মিনিটের খেলা শেষে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও গোল হয়নি। আর টাইব্রেকে ৫-৪ ব্যবধানে ফ্রান্সকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে সুইজারল্যান্ড। টাইব্রেকে শেষ শট নিতে আসেন ফ্রান্সের হয়ে এমবাপ্পে। তিনি গোল করতে ব্যর্থ হন। ৬৭ বছরের মধ্যে এই প্রথম সুইজারল্যান্ড বড় কোনো আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল। 

ফ্রান্স ২০১৮ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন। এই ইউরোতে এসেছিল হট ফেবারিট হিসেবে। কিন্তু শেষ ষোলোতে বিদায় নিতে হলে এমবাপ্পে-পগবা-জিরুদের। টাইব্রেকে তখন স্কোর ৫-৪ ছিল। এমবাপ্পে শট নিতে আসলেন। বাঁদিকে শট নিয়েছিলেন। সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক সমার শূন্যে ঝাপিয়ে বল রুখে দেন। প্রথমে তিনি রেফারির দিকে তাকান। রেফারি ইশারা দেন। সমার উচ্ছ্বাসে ফেটে পরেন। পুরো সুইজারল্যান্ডের ফুটবলাররা আনন্দে মেতে ওঠেন। 

যে সুইজারল্যান্ড ৩-১ গোলে পিছিয়ে ছিল। ৯০ তম মিনিটে কয়েক সেকেন্ড আগেও স্কোর ছিল ৩-২। সেই সুইজারল্যান্ড খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ আটে। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্পেন। ২ জুলাই ম্যাচটি রয়েছে। 

রোমানিয়ার বুখারেস্টে ছিল শেষ ষোলোর ম্যাচটি। ফ্রান্স ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নামে। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে জুবেরের পাস থেকে গোল করেন সুইজারল্যান্ডের সেফেরোভিচ। প্রথমার্ধে এমবাপ্পে ও বেনজেমা গোলের সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেন। প্রথমার্ধ শেষে এই ফলে খেলা শেষ হয় (১-০)। 

নাটকীয়তার শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৫ মিনিটে সুইজারল্যান্ড পেনাল্টি পায়। রদ্রিগেজ সেটা মিস করে। লরিস রুখে দেন শটটি। সুইজারল্যান্ড এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু সেটা হয়নি। এরপরেই ৫৭ মিনিটে এমবাপ্পের পাস বক্সে সংগ্রহ করে বেনজেমা। দারুণ ফ্লিকে বল জালে পাঠিয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদের এই স্ট্রাইকার। ফ্রান্স প্রাণ ফিরে পায় যেন। ২ মিনিট পরে আবারো বেনজেমা গোল করেন। এবার হেডে। ফ্রান্স ২-১ গোলে লিড নিয়ে ফেলে। পল পগবা বক্সের অনেক বাহির থেকে ৭৫ মিনিটে অবিশ্বাস্য শটে গোল আদায় করলে স্কোর হয়ে যায় ৩-১। ফ্রান্স তখন জয়ের বাতিঘর দেখতে পাচ্ছিল। কিন্তু ভাগ্য বিধাতা অন্য পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন হয়তো। সেই সেফেরোভিচ ৮১ মিনিটে আবারো গোল করেন বসেন। ৯০ মিনিটে স্কোর ৩-৩ করে ফেলেন গ্যাবরানোভিচ। 

অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে খেলা যায়। এমবাপ্পে সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক সমারকে একা পেয়েছিলেন। কিন্তু গোল করতে পারেননি তিনি। সুইজারল্যান্ডও সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করে। 

১২০ মিনিটের (৯০+৩০) খেলা শেষে পেনাল্টিতে যায় ম্যাচ। সুইজারল্যান্ড ৫টি শটেই গোল আদায় করে। ফ্রান্স বিপরীতে ৪টি শটে গোল করতে সক্ষম হয়। পঞ্চম শট নিতে আসেন ২০১৮ বিশ্বকাপ ফাইনালের তারকা ও স্কোরার কিলিয়ান এমবাপ্পে। ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড জীবনের প্রথম এমন ভুল করলেন। তার শট মিসে ফ্রান্স ছিটকে গেল ইউরো টোয়েন্টি টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে। 

আগের রাতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের বিদায় ঘটে বেলজিয়ামের কাছে হেরে। এবার ২০১৬ সালের রানার্সআপ ফ্রান্সের বিদায় ঘটল শেষ ষোলোতেই।